সারাজীবনের প্রশ্ন, অতি দ্রুত সকলের নিকট সৎ পরামর্শ আশা করছি???
আমি আমার জীবনের ১ টি চরম সিদ্ধান্তহীনতায়য় আমি ভুগতেছি। এটা এমন একটি সমস্যা যার সমাধান আমি চাইলেও নিজে করতে পারি না। আমার তাই আপনাদের সকলের পরামর্শ দরকার। কারন আপনাদের উত্তরের মধ্যে জড়িয়ে আছে কয়েকটি জীবনের ভবিষ্যৎ।।।
আমি রাফসান ( ছদ্মনাম) । আমার একটি মেয়ের সাথে (ছদ্মনাম - মীনা) সম্পর্ক হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। তখন আমার প্রেম করার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু, মেয়েটি বারবার আমার ফেসবুক আইডিতে এস. এম. এস দিতো। আমি প্রথমে তার মেসেজের সাড়া দিতাম না তেমন। কিন্তু, আমি শুধুই ভদ্রতা রক্ষার্থে তার মেসেজের রিপ্লাই দিতাম তাও অনেক দেরিতে। তার প্রব্লেম গুলার সলিউশন দিতাম পড়াশোনা বিষয়ে।
কিন্তু, আমি মেসেজের রিপ্লাই না দিলে মিনা বলত, " ভাইয়া আমি কি আপনাকে Disturb korci?? " বা আপনি কি বিরক্ত? আমি না বলতাম ভদ্রতার জন্যে। কিন্তু, সে সবসময় আগে sms দিয়ে যেতো। আর আমার রিপ্লাই না পেলে মন খারাপ করত। ওর sms এর মাধ্যমে ও এটা বুঝাইতে চাইতো যে, আমি তার মেসেজের রিপ্লাই না দিলে ও কষ্ট পায়। কিন্তু সরাসরি কখনো বলত না।
এভাবে যখন আমি বুঝতে পারলাম ১ টি মেয়ে আমার sms er জন্যে wait করে বা ও আমার রিপ্লাই না পেয়ে কষ্ট পায় তখন আমিও ওর উপরে দুর্বল হয়ে পড়ি। আমারো ওর সাথে তখন Chat করতে ভালোই লাগা শুরু করে।আর ওর সবচেয়ে সবচেয়ে বড় যে গুনটা আমায় মুগ্ধ করে সেটা হইলো ওর একটুও অহংকার নেই। সবসময় আমাকে আগে sms করে এবং বিন্দুমাত্র গর্ব তার মধ্যে কাজ করত না। কিন্তু আমায় বলত আপনি কখনো আগে আমাকে sms করেন না। আপনি মনে হয় বিরক্ত আমার উপরে। আমি বলতাম, না।
যাইহোক একসময়ে আমি ওর প্রেমে পড়ে যাই। সেও আমার প্রেমে পড়ে যায়। আমাদের ভালোবাসা শুরু হয়। আমি ওকে বলেছিলাম যে, দেখো তোমার যদি আগে কোনো সম্পর্ক থেকে থাকে আমায় বল। তাহলে আমি আর রিলেশনে আগাবো না। ও বলত যে, কেউ নেই। তুমিই আমার জীবনে প্রথম। আর সত্য কথা হচ্ছে যে, আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসাও সেই ছিল।
এরপরে আমাদের ভালোবাসার গভীরতা অনেক বাড়তে থাকে। আমরা ২ জন অনেকবার দেখা করি। আমরা একে অপরকে প্রচন্ড ভালোবাসি।আমরা অনেক রোমান্টিক জুটি ছিলাম। আর আমাদের ভালোবাসার মধ্যে কারো কোনো কমতি ছিলো না। আমি জানতাম যে, আমাদের ফ্যামিলির সাথে মীনাদের ফ্যামিলি যায় না। ওদের Status আমাদের থেকে অনেক নিচে। আমি মেডিকেলে পড়লেও সে পড়ত ন্যাশনালে।আর সে আমার চেয়ে একটু বড়। আমি সবকিছু জেনেও ওকে Accept করি। কারন ভালোবাসা ছোট বড় ধনী গরিব কিছু মানে না। আমি ওকে ভালোবাসি সেটাই সবচেয়ে বড় কথা ছিলো।
যাইহোক, দিন যায় আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুমধুর হয়। বলতে লজ্জা হয় কিন্তু সবকিছু আপনাদের খুলে না বলতে পারলে আমি হয়ত সঠিক পরামর্শ টি পাবো না। আমাদের মধ্যে ফিজিকাল রিলেশন ও হয়। আমি কখনো ওকে জোর করি নাই। ওর এবং আমার সম্মতিতেই আমাদের মধ্যে ফিজিকাল রিলেশন হয়। আমি তো জীবনে কোনো মেয়ের সাথে আগে এমন কিছু করি নাই। তবুও কেনো যেনো আমার সন্দেহ হয় যে, মীনা হয়ত আগেও এমন কিছু করেছে। কিছু কিছু লক্ষণ দেখে আর কি। যেমন প্রথম দিনে ওর ব্লাড বের হয় নাই। আমি ওকে প্রশ্নও করেছিলাম কিন্তু ও খুব confidently উত্তর দেয় এবং আমি যেহেতু ওকে অনেক বিশ্বাস করতাম তাই আমি সবকিছু মেনে নিয়ে ওকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছি। ও অনেক emergency pill খায় যাতে বাবু না হয়। একবার ওর মেন্স হচ্ছিলো না। ডাক্তার এর কাছেও নিয়ে গিয়েছিলাম। পিলটা ভালো কাজ করে নাই। তাই বাবু ভালোভাবে নষ্ট হয় নাই। পরে Mm Kit খেয়ে ভিতরে বাবুর অল্প কিছু অংশ বের হয়ে যায়। সেইদিন এত ভালো লেগেছিলো আমাদের ২ জনের আমি তা বলে বোঝাতে পারবো না। কি যে ভালো লাগা! আমার বেবি আসতে গেছিলো। তাই আর কি। মনে হচ্ছিলো যে, জীবনে বিয়ে করলে ওকেই করব।
অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা। হঠাৎ আসা একটি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলো সবকিছু। একদিন হঠাৎ একটি ফেসবুক আইডি লগ ইন করা দেখি ওর মোবাইলে। সেই আইডি দিয়ে একটি ছেলের সাথে চ্যাটিং দেখতে পেয়েছিলাম অনেক দিন আগের।পরে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম কিন্তু সে কোনোভাবেই উত্তর দিলো না এবং আইডিটি লগ আউট করে বলে তার পাসওয়ার্ড মনে নেই। আমি সাথে সাথে চলে যাচ্ছিলাম। পরে ও আমার পা জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করে। মানুষের সামনে আমার কাছে অপমানিত হয়। আমি ওর গায়ে হাত পর্যন্ত তুলি। এরপরেও ও আমার পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে কিন্তু ঔ ছেলে সম্পর্কে কিছু বলে না।
অনেকক্ষন পরে সে স্বীকার করে ছেলেটি তার এক্স বয়ফ্রেন্ড ছিল। কিন্তু ছেলেটার সসাথে ওর ততেমন সসম্পর্ক ছিলো না। ছেলেটা টাকার লোভে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে নেয়। পরে আমি ঔ ছেলের সাথে যোগাযোগ করি কিন্তু সেই ছেলেও কিছুই স্বীকার করে নি।
পরে অনেক কষ্টে ১ পর্যায়ে সেই ছেলে স্বীকার করে যে, মীনার সাথে তার প্রায় ১.৫ বছর রিলেশন ছিলো। ওরা সবকিছুই করেছে। পরে ঔ মীনা আরেকটা ছেলের সাথেও সম্পর্ক করে এবং একই কাজ গুলা করে। পরে ঔ ছেলেও জানতে পেরে অন্য জায়গায় বিয়ে করে নেয়। আমার আগে শুধু ২ টা ছেলের সাথেই ওর Physical Relation ছিলো। আরো ২ টা ছেলেকে ঔ মীনা ঠকিয়েছে। তাদেরকে ও ছেকা দিয়েছে। কোনো ফিজিকাল রিলেশন না করেই তাদেরকে ছেকা দিয়েছে।এর মধ্যেই আবার আমার সাথে সম্পর্ক। কিন্তু, ১ টা বড় সত্য হইলো আমার সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় অন্য কোনো ছেলের সাথে মীনা কথা পর্যন্ত বলে নাই।
কিন্তু, ১ টা বড় কথা কি জানেন? মীনার উপরে আমার কোনো রাগ নেই। অনেকে হয়ত রাগ হয়ে গেছেন আমার উপরে। কিন্তু না। আগে প্লিজ আমার কথাগুলা পুরোপুরি শুনুন। তারপরে আপনার হাতেই বিচার। আমার ওর উপরে কোনো রাগ নেই তার মানে এই নয় যে, আমি ওকে বিয়ে করব বা আমার জীবনে Accept করবো।" আসলে কোনো মানুষ কিন্তু জন্মগতভাবে চরিত্রহীন, খানকি বা বেশ্যা হয়ে জন্মায় না। পরিস্থিতি মানুষকে অনেক নিচে নামতে বাধ্য করে। মীনাও ওনেক ভালো ১ টা মেয়ে ছিলো। ওর ১ম প্রেমিক ওকে ১ টা কিস করতে চাইলেও ও বলত যে আপনি ফোন রাখেন। যখন ওদের রিলেশন অনেক developed হইল তখন ওর ১ম প্রেমিক ওকে কৌশলে ওকে দূরে ১ টা বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপরে ওকে সেখানে সারারাত রাখে। তারপরে ওর Virginity নষ্ট করে। মানে ও আগে থেকে জানতো না যে ওর সাথে এমন কিছু হইতে যাচ্ছে। পরে যেহেতু ঔ ছেলেকে ও অনেক ভালোবাসতো তাই সবকিছুই মেনে নেয়। ঔ ছেলে ওকে প্রতিশ্রুতি / প্রতিজ্ঞা দেয় যে ওকে বিয়ে করবে। কিন্তু ঔ ছেলে ওর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
ও কষ্ট গুলা ভুলার জন্যে অন্য রিলেশন করে। তারপরে আবার ওর অন্য রিলেশন গুলাও ঔ ছেলের কারনে ভেংগে যায়। ও অনেক ছেলেকে ধোকাও দিয়েছে। আর ওর সবচেয়ে বড় গুন হইলো কোনো ছেলে ১ বার অর প্রেমে পড়লে সেই ছেলে পাগল হয়ে যায়। সেই ছেলে সারাজীবনেও ওকে ভুলতে পারে না। ও ১ টা ছেলেকে পাগলের মত ভালোবাসতে পারে।
আমি নিজে নিজে মীনার জায়গা থেকে চিন্তা করে দেখেছি। কিন্তু, আপনারা মীনার দিক দিয়ে চিন্তা করেছেন কখনো??? ওর ১ম বয়ফ্রে ন্ড এমনভাবে ওর সব কিছু কেড়ে নিয়েছেন যে অন্য কোনো ছেলে জেনে শুনে ওকে কখনো accept করবে না। সে সব কিছুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওকে ব্যবহার করে ওর ভবিষ্যৎ টাও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। আপনারা ওর জায়গায় থেকে একটু চিন্তা করে দেইখেন। ওর জীবন টা এমনভাবে অনিশ্চয়তা এর মধ্যে ফেলে ফিয়েছে সেই ছেলেটার বেঈমানি। তাই ও আমাকে জিজ্ঞেস করে, " রাফসান, আমার তো কোনো দোষ ছিল না। একজনের জন্যে আমার জীবন্টা শেষ হয়ে গেল। আমার জীবনের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্যে কি আর কারোর ভালোবাসা পেয়ে ভালো করে বাচবার অধিকার নেই। ??? "
আমি উত্তর দিলাম যে, আছে। তবে আমার মত কাউকে ঠকিয়ে তার ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার নেই তোমার।এবার আমার দিক থেকে চিন্তা করে দেখলাম। আমি যে মীনা এর সাথে রিলেশন ব্রেকআপ করেছি, এর জন্যে কিন্তু আমি নিজেকে অপরাধী মনে করি না। কারন, আমার যথেষ্ট কারন আছে ওর সাথে সম্পর্ক ভাংগার। কারন ১ টা ছেলে পৃথিবী তে সবকিছু মেনে নিতে পারে কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষ এর এই সত্য গুলো মেনে নিতে পারে না। তাই আমি ওকে ঠকাই নাই, বরং মীনা আমাকে ঠকাইছে। আমার কিন্তু নিজেকে একটুও অপরাধী মনে হয় না । আমি মীনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, " আমি কি ঠকাইলাম তোমাকে?? " সে উত্তর দিলো, " না। বরং আমি মিথ্যা বলেছি তোমায়। আমায় ক্ষমা করে দিও।"
এখন To The Point e আসা যাক। মীনা আমাকে বলেছে, " রাফসান, আমি আমার জীবনে যতগুলো সম্পর্ক করেছি তাদের কেউ আমার প্রকৃত ভালোবাসা ছিলো না। তোমার সাথে তাদের ১ টা পার্থক্য হইলো প্রত্যেক টা ছেলে আমাকে প্রেমে রাজি করিয়েছে। তারা আমার উপর দুর্বল ছিল। কিন্তু আমি তোমার উপরে দুর্বল ছিলাম। আমি তোমার প্রেমে আগে পড়ে গিয়েছিলাম। এর প্রধান কারন ছিল নাকি আমার ফেসবুকের about me পড়ার পরে এবং আমার কাছে থেকে ১ টা সমস্যার এত ভাল সলিউশন সে পেয়েছিল যেটা সে কখনই expect ও করতে পারে নাই।
আর সবচেয়ে বড় কারন হইলো, আমি নাকি তাকে সবার চাইতে বেশি ভালোবাসা দিয়েছি। আর মানুষ হিসেবে খুবই ভালো ১ জন মানুষ। তাই মীনাও নাকি সবার চাইতে আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা দিয়েছে। আমি নাকি ওর সব ক্ষেত্রে ওর মনের মত। ও যেমনটা চায় ঠিক সেমন। ও আমাকে বলে , "তোমাকে পেয়ে আমার জীবন ধন্য। আমার জীবনের সত্যিকারের ভালোবাসা শুধুই তুমি। তোমার সাথে রিলেশন এর পরে আমি কোনো ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখি নাই। তুমি আমার স্বপ্নের পুরুষ। আর আমাদের বাবুর ঔ ঘটনার পরে থেকে তোমার উপরে এমন ১ টা মায়া কাজ করে সেটা আমি কোনোদিন তোমাকে বোঝাতে পারবো না। "
ও আমাকে বলতেছে, " তুমি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে যদি পারো তোমার জীবনে আমাকে একটু ঠাই দাও। আমি কথা দিলাম আমি ভালো হয়ে যাবো। তোমার অনুমতি ছাড়া বাইরে যাবো না, অনেক দ্বিনদার ও পরহেজগার হয়ে যাবো। তুমি যেইভাবে বলবা সেইভাবে চলব। শুধু তোমার বুকে আমায় একটু ঠাই দাও। আমাকে ভালো হওয়ার ১ টা শেষ সুযোগ দাও"
আমি উত্তরে বললাম, " মীনা, দেখো। আমি তোমার সব কিছু মেনে নিতে পারতাম কিন্তু, ১ টা ছেলে হয়ে কখনো যার সাথে সারাজীবন থাকবো তার এইগুলো মেনে নিতে পারবো না। আর আমার বাবা মা কখনই তোমাকে মেনে নিবে না। তোমাকে বিয়ে করতে হইলে আমাকে পিতা মাতাকে না জানিয়ে তাদের কষ্ট দিয়ে করতে হবে। এমনকি ত্যাজ্য ও হয়ে যেতে পারি। কিন্তু, তোমার জন্যে সবকিছুই করতাম। কিন্তু এখন কার জন্যে করবো এতকিছু??? সবকিছু জেনেও। কিভাবে আমি করবো??? এটা সম্ভব নয়। আমার বিবেক এর কাছে সারাজীবনের জন্যে আমি হেরে যাবো। আমি পারলাম না। আমায় ক্ষমা কর।
এরপরে অনেক ক্ষন কাদলো আমার জন্যে। তারপরে বলে, " রাফসান, আমি তোমার পরে আর পৃথিবীতে অন্য কোনো ছেলের সাথে সম্পর্ক করবো না। আমি যতদিন পর্যন্ত সম্ভব হয় তোমার জন্যে অপেক্ষা করবো। সারাজীবন তোমাকেই ভালোবেসে যাবো। এমনকি তুমি যদি চাও আমি তোমার ২য় স্ত্রী হবো। তুমি তো জানো যে মেয়েরা সবকিছুর ভাগ দিতে পারে। স্বামীর ভাগ নয়।তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমি সেইটা করতেও রাজি। কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। আমি বাচবো না তোমার ভালোবাসা না পেলে। তুমি আমাকে বিয়ে কর বা না কর আমি সারাজীবন তোমার জন্যে wait করতে থাকবো। পারলে ফিরে এসো আমার কাছে।"
এরপরে আমি ওকে বললাম, " এই যুগে তো এমন মেয়ে পাওয়া খুবই Tough যে অন্য ছেলের সাথে রিলেশন করে নাই। আর রিলেশন থাকলে মেয়েদের প্রায় ৯০% এর চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। তাই এমন কোনো মেয়ে আমি পেলে তার সাথে সম্পর্ক করবো এবং তাকে বিয়ে করবো বাবা মা এর ইচ্ছায়। আমি জীবনে এমন কোনো মেয়ে চাই না যে আমার আগে অন্য পুরুষের সাথে এমন কিছু করেছে যা আমি তোমার সাথে করেছি। যদিও এই যুগে এটা খুবই Tough Task.আল্লাহ ভরসা। দেখা যাক।এরপরে যদি তোমাকে ২য় বিয়ে করি তাহলে আমার সব ইচ্ছাই পূরন হবে। ভালো ১ টা মেয়েকেও বউ হিসেবে পাবো আবার তোমার ভালোবাসাও পাবো। আমি মোটামুটি রাজি। কিন্তু তোমাকে আমার জন্যে আরো ৬-৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে। উল্লেখ্য, আমার বয়স ১৮. মেয়ের ১৯. তাও আমি কথা দিতে পারলাম না। কারন মানুষের মন যে কখন বদলায় তা কেউ বলতে পারে না। যেকোনো কিছু ঘটতে পারে ৬-৭ বছরে। আমি কথা দিলাম। তুমি wait করলা। কিন্তু বিয়ে কোনো কারনে না হইলে আমি বেইমান হয়ে যাবো। তাই ভালো ছেলে পাইলে বিয়ে করে নিও। আমার জন্যে তুমি বিয়ে ভাংবা না তোমার।
এখন আমি উভয়সংকট এ পড়ে গেছি। মাঝে মাঝে মনে হয় ওর ভালোবাসা আমার জীবনে দরকার।ওকে জীবনে শেষ ১ টা সুযোগ দেওয়া দরকার। মাঝে মাঝে মনে হয় ২ টা বিয়ে করলে আমার জীবনের সব ইচ্ছা পূরন হইলেও জীবনে সুখ শান্তি হয়ত আসবে না।
কিন্তু, ১ টি কথা উল্লেখ করতে চাই। কেউ প্লিজ আমাকে ওকে ১ মাত্র বউ হিসেবে মেনে নিতে বলবেন না। কারন এটা আমার দ্বারা কখনই সম্ভব হবে না। মীনার আমার জীবনে আসার শুধুমাত্র ১ টা ই সুযোগ আছে। তা ২য় বিয়ের মাধ্যমে। আর সেটাও হবে না জানিয়ে। পরে আমি নিজের পায়ে দাড়ালে সবাইকে জানাবো। আশা করি ২ জন বউ এর ভরন পোষন দেওয়ার মত ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।
এখন আমি আপনাদের পরামর্শ চাই। ওকে ২য় বউ বানাবো এই জন্যে কি ওর সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত হবে? ওকে কি ২য় স্ত্রী হিসেবে জীবনে ১ টা সুযোগ দিবো নাকি এটা আমার জীবনের জন্যে মারাত্মক ভুল ১ টা সিদ্ধান্ত হবে। দয়া করে আমাকে যদি কেউ আপনাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেন তাহলে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকিব। ধন্যবাদ।